Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

দিনব্যাপি Tea Tasting, Quality Control and Cost Management শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চা বোর্ড-এর প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ)


প্রকাশন তারিখ : 2020-12-13

উৎপাদন খরচ কমিয়ে গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনের লক্ষ্যে শ্রীমঙ্গলস্থ পিডিইউ অডিটোরিয়ামে আজ, রবিবার দিনব্যাপি Tea Tasting, Quality Control and Cost Management শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চা বোর্ড-এর প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ)। উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী; পিডিইউ এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক; সিনিয়র টি প্লান্টার, সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান, জেমস ফিনলে টি কোম্পানি লি: এর ভাড়াউড়া ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক জনাব জি এম শিবলী। অন্যান্য সিনিয়র প্লান্টারসদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ি চা বাগানের মহাব্যবস্থাপক, ন্যাশনাল টি কোম্পানি লি: এর উপমহাব্যবস্থাপক, জেরিন চা বাগানের উপমহাব্যবস্থাপক, চাতলাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক, সাগরনাল চা বাগানের ব্যবস্থাপক, চন্ডিছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ও ইমাম চা বাগানের ব্যবস্থাপক এবং বিটিআরআই ও পিডিইউ-এর বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাগণ; এবং চা বোর্ডের নিউসমনবাগ, পাথারিয়া, দেওড়াছড়া, কাশিপুর চা বাগান ও বিলাশছড়া পরীক্ষণ খামারের ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপকগণ। টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেছেন আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও রেজিস্ট্রার মো: লুৎফর রহমান এবং বিটিআরআই-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: ইসমাইল হোসেন।

এ বিষয়ে ড. এ কে এম রফিকুল হক জানান যে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মোট চা উৎপাদন হয়েছে ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি, যা হতে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে কিছু চা বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছে। চায়ের উৎপাদনের এ ধারা অব্যাহত রাখা ও উৎপাদন খরচ ঠিক রেখে গুণগত মানসম্পন্ন চা প্রস্তুত করার মাধ্যমে চায়ের রপ্তানি আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেই আজকের এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানীগণ গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া সিনিয়র প্লান্টারস ও বাগান ব্যবস্থাপকগণ বাস্তব অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ মতামত প্রদান করেছেন। টি টেস্টিং সেশনে বিভিন্ন বাগানের চা ও বিটিআরআই-এর গবেষণাগারে প্রস্তুতকৃত চায়ের কোয়ালিটি এট্রিবিউট সমূহ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ড. রফিকুল হক আশা প্রকাশ করেন যে, কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ যেহেতু চায়ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, ফলে, আজকের অর্জিত জ্ঞান, ২০২১ সালে, খরচ কম রেখে কোয়ালিটি চা উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এভাবে চায়ের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলাদেশ চা বোর্ড চা রপ্তানির পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।